বরুড়া প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সড়কের উন্নয়ন কাজ অর্থের অভাবে বন্ধ রয়েছে।এতে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি কাজের সময়ও বাড়ছে।এই অবস্থায় নির্মানধীন সড়কের নির্মানসামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে, কোথাও পিছঢালাই উঠে বালু উড়ছে,আবার কোন জায়গায় সড়ক মৃত্যুর ফাদ হয়ে দাড়িয়েছে।সড়কের খোয়া উঠার জন্য হাটাচলা করা যায় না।
সড়ক ৩টি হলো বরুড়া-চাপাঁপুর ২৩ কিলোমিটার সড়ক, বরুড়া-খাজুরিয়া ১৯.৫০ কিলোমিটার ও বরুড়া – নিমসার ১৩.৩০ কিলোমিটার সড়ক। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লা সূত্রে জানা যায়, জেলার মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রস্হ উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৫৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক তিনটি নির্মান করা হবে। চলতি বছরে এসব সড়কের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা না থাকায় বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে।
সওজ সূত্রে জানা যায় বরুড়া থেকে কালীরবাজার ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বার্ড হয়ে চাপাঁপুর পর্যন্ত সড়কের কাজটি পায় কুমিল্লা নগরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর এবি-আরসি প্রাইভেট লিমিটেড অ্যান্ড মশিউর রহমান চৌধুরী। ২০১৮ সালের ৯ডিসেম্বর কাজ শুরু হয়।২০২০ সালের ৮জুন কাজ শেষ করার কথা ছিল। এই কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ কাজ হয়েছে।
বরুড়া- খাজুরিয়া সড়কের ব্যয় ধরা হয় ৫২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে মাটি ভরাট করে সড়ক সম্প্রাসরন করা হয়েছে।এই সড়কের কাচঁপুকুরিয়া থেকে পয়ালগাছা হয়ে খাজুরিয়া পর্যন্ত সড়কের অবস্থা বেহাল। এই অংশে অনেক গর্ত, সড়কের বালু উড়ছে। ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছেন যাত্রীরা।বরুড়ার দক্ষিণ এলাকার মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করে কুমিল্লা- চাঁদপুর যায়।এই সড়কের ৭৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। এই সড়কের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরএবি- আরসি প্রাইভেট লিমিটেড মশিউর রহমান চৌধুরীর কোম্পানি। এই সড়কের কাজ শেষ করার কথা ২০২০ সালের ৪ জুনের মধ্যে।
এইদিকে বরুড়া- নিমসার সড়কের জন্য ব্যয় ৩৯ কোটি ৫৯ লাখ।এটা রাজধানী ঢাকার ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন কাজ পায়।এই সড়কের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এটা ৪ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
সওজ কুমিল্লার উপবিভাগীয় প্রকোশলী রেজা-ই-রাব্বি বলেন সড়কের কাজের শতকরা হিসাব একরকম কিলোমিটার অন্যরকম।এই তিনটি সড়কের ২৪ কোটি টাকা স্বগিত রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সওজের প্রধান প্রকোশলীর কাছে গত ৭ অক্টোবর প্রস্তাব দেওয়া হয়।একই প্রকল্প ব্যয় ১৭৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহ বলেন অর্থ না থাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে, আবার অর্থ পেলে কাজ শুরু হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page